প্রহরে প্রহরে ভয়ের কটাক্ষ আর নিস্তব্ধতার বেদনা,
ফাঁপা মুখের জং ধরা রেখাগুলি আজ যেন সেই
পর্দার উপর ঝলসে উটছে। তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে
এসে দাড়িয়েছে সমন আমার শিয়রে. যেতে হবে।
নিজের দোষ, গ্লানি আর বিবর্ণ পৌরুষের যে ছায়া
মাত্র হয়ে রয়েছে এই দেহ, তাকে সরিয়ে নিয়ে যেতে
হবে। ডারুইনএর প্রাকৃতিক বাছাইয়ের ছকে ফেলে
এই জীর্ণ, ভীত দেহ টাকে বাদ দিতে হবে অনুপাত থেকে।
ভয়, সন্দেহ, দুর্বলতা, সবি আছে মস্তিষ্কের অলি গলিতে।
ফেরিওলার মত ডাক দিয়ে যাচ্ছে- যদি কেউ শোনে?
যার শোনার কথা তার দেহ আজ অস্থিচর্মসার এক জীবাশ্ম
মাত্র। ছেড়ে যাবে সে তার পশ্চিমী হাওIর পিঞ্জর কে।
সেই একটিমাত্র মায়া যা ত্যাগ করার দুঃসাহস তার নে।
মাটির অনেক পরত নিচে থেকেও ভুলতে পারবেনা
কাজলা মেঘের সাথে পশ্চিমী হাওIর সেই উন্মাদ খেলা।
নশ্বর হয়েও অবিনশ্বর হবার সেই প্রতিক্রিয়া...
দুর্বল না পাখন্দী নাকি নিজের পিঞ্জরে আটকে থাকা
কোনো বন্দী যার রন্ধ্রে বইছে তোমারি সুবাস কিন্তু
বাকি শরীরে শুধুই মিথ্যা আর সেই অমানবিক নেশা!
মানুষ তুমি বর্বর। সৃষ্টি করেছ তুমি মৃত্যুর চোরাগলি।
আসি ফিরে আমি আবার যদি এই শারীরিক জঙ্গলে,
নশ্শাত করে দেব আমি এই মস্তিষ্কের দুর্বলতা যা
চিবিয়ে খায় আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যত আর
এ শরীর কে কটাক্ষের হাত্চানি দিয়ে যায়। আসব আমি!
©